বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থা এবং কোটা সংস্কার
বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থা এবং কোটা সংস্কার
আমাদের সময় মানে – ৯০ দশকের কথাই বলছি।
সেই ৯০ দশকের সময় প্রশ্নপত্র ফাস হতো, তাই বলে বর্তমানের এই ২০ শতকের মত প্রযুক্তির যুগে, কঠোর নিরাপত্তার মাঝে এভাবে একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাস হয় নাই। তখনকার সময় সরকার আর শিক্ষা সংশ্লিষ্ট জড়িত অনেক ব্যাক্তিরা সৎ, অনেকটা যত্নবান ছিল। কিন্তু এখনকার সময় – একের পর এক প্রশ্ন পত্র ফাস হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা সংশ্লিষ্ট জড়িত ব্যাক্তিরা এতটাই বেশি আবেগপ্রবন, তারা কিছুই করতে পারছে না। এসবের বিরুদ্ধে একশন নিতে পারছে না – এমনটা ভাবা ভুল। শুধু জিপিএ ৫ দিয়ে গনহারে রেজাল্ট দিলেই হবে না, শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের আছে ব্যাপক ফৌজদারি ক্ষমতা, কিন্তু বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের ঊর্ধ্বতন মহল আর শিক্ষা সংশ্লিষ্ট জড়িত ব্যাক্তিরা, এমন একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মন খুশি করতে, তাদের মদদে চাইছে এই বাংলাদেশের বাঙালী জাতিটা ধ্বংস হয়ে যাক, মেধা শুন্য হয়ে যায় দেশের ছেলেমেয়েরা, যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি গুলোতে বাংলাদেশের তরুণরা নেতৃত্ব না দিতে পারে।
আমাদের বাংলাদেশে যারা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে যারা জড়িত, তারা কখনোই দেশের শিক্ষা পদ্ধতিকে আধুনিকায়ন করতে পারে নাই।
৯০ দশকের পর থেকেই সব সরকারই বলে আসছে যে – দেশের শিক্ষা পদ্ধতি আধুনিক আর সময়ের সাথে উন্নত দেশের সাথে সমকক্ষ হবে। কিন্তু বাস্তবে এই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বলতে কিছুই নাই। সব ক্ষেত্রে কোঁটা পদ্ধতি, যেখানে মেধার কোন মূল্যায়ন হয় না। উন্নত দেশে কোথাও বাংলাদেশের মত কোঁটা পদ্ধতি নেই। এই কোঁটা পদ্ধতি বাতিল হয়তো হবে না, কিন্তু বিশেষ কোঁটায় নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
যেখানে বাংলাদেশের ছাত্ররা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশের উন্নয়নে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন চায়, মেধার মূল্যায়ন চায়, সেইখানে অসংখ্য ছাত্রদের উপর পুলিশ দিয়ে আক্রমণ করা, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ আর জলকামান ব্যবহার করা – একটি দুর্বল, অগনতান্ত্রিক সরকারের পরিচয় বহন করে।
একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে সব নাগরিকের অধিকার সমান, তাহলে আবার কারও কারও বিশেষ অধিকার কেন ?
যেখানে বাংলাদেশের ছাত্ররা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, সারা জীবনের পরিশ্রম আর মেধার মূল্যায়ন চায়, দেশের উন্নয়নে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন চায়, দেশেই মেধার মূল্যায়ন চায়, সেখানে কোটাব্যবস্থা ৫% হওয়া উচিত।
আমাদের দেশে বিসিএসে নিয়োগে বর্তমানে ৫৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাঁদের নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রয়েছে ১ শতাংশ। কোনো কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেখান থেকে প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ হয়।
এ হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে, এ দেশে যে মেধাবী তরুণ, যিনি কোনো কোটায় পড়েন না (জেলা কোটা ছাড়া), তাঁর চাকরি পাওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা কম। সংখ্যায় তাঁরাই বেশি আর তাঁদের লড়াইটাও বেশি। দিন-বছর শেষে আমাদের বাংলাদেশের তরুণদের বঞ্চনাও বেশি।
এ দেশের তরুণসমাজ চায় পরিবর্তন, কোটাব্যবস্থা বাতিল হোক, অথবা ৫% হওয়া উচিত।
আমাদের বাংলাদেশে যারা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে যারা জড়িত, তারা কখনোই দেশের শিক্ষা পদ্ধতিকে আধুনিকায়ন করতে পারে নাই।
৯০ দশকের পর থেকেই সব সরকারই বলে আসছে যে – দেশের শিক্ষা পদ্ধতি আধুনিক আর সময়ের সাথে উন্নত দেশের সাথে সমকক্ষ হবে। কিন্তু বাস্তবে এই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বলতে কিছুই নাই। সব ক্ষেত্রে কোঁটা পদ্ধতি, যেখানে মেধার কোন মূল্যায়ন হয় না। উন্নত দেশে কোথাও বাংলাদেশের মত কোঁটা পদ্ধতি নেই। এই কোঁটা পদ্ধতি বাতিল হয়তো হবে না, কিন্তু বিশেষ কোঁটায় নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
যেখানে বাংলাদেশের ছাত্ররা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশের উন্নয়নে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন চায়, মেধার মূল্যায়ন চায়, সেইখানে অসংখ্য ছাত্রদের উপর পুলিশ দিয়ে আক্রমণ করা, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ আর জলকামান ব্যবহার করা – একটি দুর্বল, অগনতান্ত্রিক সরকারের পরিচয় বহন করে।
Recent Comments