Rezwan Ahmed & His Team || Software Engineer || CMS Developer | Contents Writer | Graphics Designer |

ব্র্যাক এর প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি এবং নামের শেষে kcmg লিখা নিয়ে

ব্র্যাক এর প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি এবং নামের শেষে kcmg লিখা নিয়ে কিছু কথা


বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ !!!!

May be an image of 5 people and people standing


তলোয়ারের নিচে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি ,যিনি ব্র্যাক এর প্রতিষ্ঠাতা।নরমালি তার নামের শুরুতে স্যার এবং শেষে kcmg লিখা হয়।Kcmg এর মানে হচ্ছে -Knight commander star of the order of saint micheal and saint George. ফজলে হাসান আবেদের নামের শেষের এই kcmg এর অর্থ বুজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে আজ থেকে ৯০০ বছর আগের ইতিহাসে যখন ইউরোপীয় খৃষ্ট সম্রাজ্য প্রথম ক্রুসেড শুরু করেছিল।


জাজিরাতুল আরবের সীমানা পেরিয়ে ইসলাম তখন ছড়িয়ে পড়েছিল ইউরোপের মাটিতে।১০৯৫ সালে মুসলিমরা খৃষ্টানদের শক্তিশালী দুর্গ কনস্টান্টিনোপলের সীমানায় এসে পৌছায়।খৃষ্টান সম্রাট এলেক্সিওসের অনুরোধে রোমের ক্যাথলিক পোপ দ্বিতীয় আরবান ৩০ হাজার এক বিশাল বাহিনী নিয়ে মুসলিমদের প্রতিহত করে।এখান থেকেই শুরু হয় ইসলামরে বিরুদ্ধে খৃষ্টানদের ঐতিহাসিক প্রথম ক্রুসেড। আজকের দিনের ফজলে হাসান আবেদের মত প্রত্যক যুগেই এমন মুনাফিকরা ক্রুসেডারদের পক্ষ হয়ে কাজ করছে যারা ক্রুসেডারদের তলোয়ার নিজদের কাধে নিয়ে খৃষ্টান বাহিনীদের জন্য রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে।এমনই কিছু মুনাফিকদের সহায়তায় খৃষ্টান মুনাফিক বাহিনী ১০৯৯ সালে মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসা দখল করে নিতে সক্ষম হয়।

পরবর্তী তে প্রায় ৪০ বছর পর ঈমামউদ্দীন জঙ্গী পরবর্তীতে তার ছেলে নুরুু্দ্দিন জঙ্গী ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যহত রাখেন।১১৪৭ সালে খৃষ্টানরা দ্বিতীয় ক্রুসেড ঘোষনা করে। এই যুদ্ধে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর নেতৃত্বে মুসলিমরা বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয় এবং মসজিদুল আকসা পুনরায় দখল করে।ইসলামের ইতিহাসে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর মত যোদ্ধাদের যেভাবে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয় ঠিক একইভাবে খৃস্টানদের মধ্যে যারা দুধর্ষ যোদ্ধা তাদের নাইট উপাধি দেওয়া হয়। তখনকার যুগ অনুযায়ী নাইট হল ঘোড়াসওয়ারী,প্রায় সব ধরনের অস্ত্র নিখুত ভাবে পরিচালনার সক্ষমতা এবং সর্বঅবস্হায় খৃষ্টান ধর্মের জন্য যারা জীবন দিতে প্রস্তত তাদের ‘নাইট’ উপাধি দেওয়া হত। সবচেয়ে ভাল মানের ঘোড়া আর যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে তাদের সুসজ্জিত করা হত। সহজ ভাবে বললে এখনকার মিলিটারিতে যেমন স্পেশাল কমান্ডো ফোর্স থাকে ক্রুসেড বাহিনডেও এই স্পেশাল যোদ্ধা থাকত। যাদের নাইট বলা হত। তো যে কথা বলছিলাম,অনেক কাঠখড় পুরিয়ে ১৯২০ সালে ব্রিটিশরা তথা ক্রুসেড বাহিনী পুনরায় ফিলিস্তিন দখল করে এবং মসজিদুল আকসা দখলো নেয়। জেরুজালেম অধিকার করে মুসলমানদের প্রতি চালায় হত্যাযজ্ঞ। জেরুজালেমের রাস্তায় মুসলমানদের রক্তের স্রোত বইতে থাকে। রাস্তার ঘোড়াগুলোর খুর রক্তে ডুবে যাচ্ছিল। বর্মাবৃত এই নাইটরাই ছিল এই হত্যাযজ্ঞের হোতা।


দখল করে খৃষ্টানরা এটা ভাল করে বুঝতে পেরেছিল যে মুসলিমদের কেবল সামরিক দিক দিয়ে সবসময় পরাজিত করা সম্ভব নয়।কারন এতে আরো উল্টা ইসলামে বিস্তার হচ্ছিল। তাই তারা ভিন্নভাবে আগানো শুরু করে। মিশন নিয়ে নামে বুদ্ধিভিত্তিক এটাকে। কিভাবে করে মুসলিমদের বুদ্ধি ভিত্তিক দাশ বানানো যায়।পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা মুসলিমদেরই ব্যবহার করা শুরু করে। ফজলে হাসান আবেদের মত লোকদের কিনে নেয়।ক্রুসেডারদের পক্ষ নিয়ে বেসামরিক কাজ তথা সামাজিক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহকে বদলে দিয়ে ক্রুসেডারদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে যারা অসামান্য অবদান রেখেছে তাদের , ক্রুসেডার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যর পক্ষ থেকে তাদের নিযুক্ত করা হয় নাইট কামন্ডার বা kcmg হিসেনে। এবং বৃটিশ রাজপরিবারের পক্ষ থেকে যুক্ত করা হয় স্যার উপাধি। নাইটরা তলোয়ারের নিচে ছবির মত এভাবেই খৃষ্টান ক্রুসেডের আনুগত্য করে নেয় ।ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবিদ হল তেমনই একজন নাইট বা kcmg.ছোট একটা মজার জিনিস দিয়ে শেষ করি ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার এলিস্টার কুক কে অনেকে মনে করেন ভাল ক্রিকেটার তাই স্যার বলা হয়,বাস্তবে উনিও এরকম একজন নাইট তাই তাকে স্যার বলা হয়।সকল নাইটদের নামের শুরুতে স্যার বলা বাধ্যতামূলক,,কারন খৃষ্টান ধর্মকে সমুন্নত করতে তারা জীবন দিতে প্রস্তত।হাজার হাজার মুসলিম হত্যাকারী নাইটদের স্মরণে যুক্তরাজ্য আজও ‘নাইট’ উপাধি ও মেডেল দিয়ে থাকে। তো এটা সম্মানের না লজ্জার ?


বাংলাদেশের আরো একজন নাইট উপাধি পেয়েছিল,নামটা মনে আসতেছে না।মূলত যারা ইসলামের এগেনিস্টে গিয়ে ড্রাম ড্রাম তৈল লৈয়া দখলদার বৃটিশগো পায়ে তেল মাখাইয়া ঠিকমতো চাটতে পারছিলো তারাই নাইট উপাধি পাইছিলো। মীরজাফরের যোগ্য উত্তরসূরী রাজাকার এইসব নাইটরা।


আর এই ব্রাকের-ই একটা প্রোডাক্ট হলো “বিকাশ”। আজ বিকাশ নাকি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে ?? বিষয়টা কেমন ঘোলাটে লাগছে না!!!